শামছুল আলম আখঞ্জী,তাহিরপুর
সুনামগঞ্জের বৃহত্তর হাওর, সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত টাংঙ্গুয়া হাওর। প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে উঠেছে তরু, লতা, বৃক্ষ। যাঁর কারণে পশু পাখি বিভিন্ন উভয় চর প্রাণী নির্বিঘ্নে চলা ফেলা করে থাকে। কিন্তু ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে কয়েক শতাধিক বহিরাগত মহিষ নিয়ে আসা হয়েছে।এ সকল মহিষের পদচারণায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবেশ সংকটাপন্ন হয়ে জীব বৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে ।
এলাকা ঘোষিত,সংরক্ষিত বিভিন্ন কান্দা – জঙ্গলে অবাধে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।ফলে হাওরের কান্দায় লাগানো ও প্রকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা হিজল-করচের চারা নলখাগড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন,পাখির বাসা,বিভিন্ন প্রজাতির কচ্চপের ডিম মহিষের পায়ের তলায় পিষ্ট হচ্ছে।
একাকাবাসীর তথ্য সুত্রে জানাযায় হেমন্তে মওসুমে টাঙ্গুয়ার হাওরের দিগন্ত সবুজ বনভূমি জেগে ওঠে। নানা প্রজাতির ঘাস তখন ছেয়ে যায় হাওরের কান্দা-জঙ্গলে।সবুজাভ ঘাসের লোভে স্থানীয় একটি মুনাফা লোভী চক্রকে ম্যানেজ করে,মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে,ময়মনসিংহের কিছু কৃষক ঘাস খাওয়াতে মহিষের পাল নিয়ে আসে টাঙ্গুয়ার হাওরে।গত কয়েক বছর ধরে এটা হচ্ছে,এ ব্যাপারে বহুবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে,কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রকৃতি সংরক্ষণে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনে প্রকৃতি বিনাশী এমন ঘটনা ঘটলেও তারা রয়েছে নিশ্চুপ।
সরেজমিনে জানাযায় রামসার সাইট হিসাবে ঘোষিত পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় প্রায় দুই-শতাধিক মহিষ ১মাস ধরে রাত-দিন অবাধে হাওরের কান্দা-জঙ্গলে দল বেধে বিচরণ করছে।একটি সংরক্ষিত এলাকায় ঘাস লতা-পাতা খাওয়ার নামে বিনাশ করছে বনাঞ্চল ও পাখির বাসা,এবং মহিষের পায়ের তলায় পিষ্ট হচ্ছে,কচ্ছপ ও পাখির ডিম।এছাড়াও হিজল-করচসহ বিভিন্ন চারা ও গাছ ধ্বংস করছে এসব মহিষ।যার ফলে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সুধীজন।তারা টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির বলেন, জীব বৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে, আইন গতব্যবস্থা গ্রহণ করে, স্বার্থরেষী মানুষ কে দমন করা হবে। তিনি আরও বলেন আমি পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা করব।
কমেন্ট করুন